৮টি বিভাগীয় ক্যান্সার সেন্টারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
বিশেষ প্রতিবেদন
`আমরা দেশের আটটি বিভাগীয় হাসপাতালে আটটি ক্যান্সার সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারলে এই রোগ থেকে শতভাগ সুস্থ হয়ে ওঠার চিকিৎসা রয়েছে’- এমন ঘোষণা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য ও ফলাফল প্রকাশ এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আটটি বিভাগীয় ক্যান্সার সেন্টারে সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় মেমোগ্রাফি মেশিন দেবো। সেখানে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আরো ভালো হবে। মেডিকেল কলেজেও ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার মৃত্যুবরণ করেন। জরায়ু মুখ ক্যান্সার আট হাজার নারী আক্রান্ত হন, এর মধ্যে পাঁচ হাজার মারা যান। এছাড়া শনাক্তের বাইরে থাকেন অসংখ্য নারী।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেড় লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। ১৫ থেকে ১৮ লাখ ক্যান্সার রোগী বাংলাদেশে রয়েছে। গত তিন বছরে করোনায় যে পরিমাণ মৃত্যু হয়নি, এক বছরে ক্যান্সারে তার থেকে তিনগুণ বেশি মৃত্যুবরণ করেছে। সুতরাং ক্যান্সারের বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্যান্সারের স্ক্রিনিং-এর বিষয়ে বেশি জোর দিয়েছি। প্রাথমিক স্ক্রিনিং-এর জন্য ৫৭০টি সেন্টার করা হয়েছে। স্ক্রিনিং-এর মাধ্যমে পজিটিভ রোগীদের জন্য ৪৩টি কোলোনোস্কোপি সেন্টার করা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা রয়েছে ৫০০টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিং সেন্টার করার। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক স্ক্রিনিং করার নির্দেশনা দিয়েছি।